আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইরাকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি দেখতে চায় সৌদি আরব। সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে নির্মূলে অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প নেই বলে দাবি রিয়াদের।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে ওয়াশিংটনভিত্তিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে আলাপকালে নিজ দেশের এই অবস্থানের কথা স্বীকার করেন সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান। তিনি বলেছেন, মার্কিন বাহিনীর প্রস্থান ইরাককে একটি অনিরাপদ অঞ্চলে পরিণত করবে।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পুনরুত্থান মোকাবিলায় ইরাকে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি প্রয়োজন।
এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত ইরাকের পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।
মূলত এর পরপরই সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইরাক থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানায় তেহরানের মিত্র বাগদাদ। বিদেশি সেনা বলতে ইরাকে মোতায়েন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সদস্যদেরই বোঝানো হয়।
গত ১০ জানুয়ারি ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদী এই সেনা প্রত্যাহারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইরাকে প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।